নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা যায় যে, গত (২ আগস্ট, বুধবার) রাত পৌনে এগারোটার দিকে রাজধানীর পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের সামনের রাস্তায় একটি লেগুনাকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় প্রাইভেটকার আরোহীরা লেগুনা চালক মোঃ সবুজ খান (৩৫) কে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহতের সহকর্মী মোঃ জামাল ও মিন্টু জানায়, লেগুনা গাড়িটিতে গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা তিন জন ঠেলে বসুন্ধরা সিটির সামনে দিয়ে কাওরান বাজারস্থ মাছের আড়ৎ থেকে গ্যাস পাম্পের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বসুন্ধরা সিটির সামনে রাস্তায় একটি প্রাইভেট কারের সাথে সামান্য ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেট কারের আরোহীরা গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে লেগুনা চালককে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মীরা আরোও বলেন, প্রাইভেটকারের লোকজন সবাই মদ্যপান অবস্থায় ছিল। উক্ত ঘটনায় ডিএমপি ঢাকা তেজগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পর থেকে উক্ত আসামীগণ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল।
এই নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ সদর দপ্তর নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টিম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পলাতক আসামিদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর পান্থপথে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাকত আসামী: ১। সাইফুল ইসলাম পলাশ, পিতা-মোমিন আলী অপর আসামি ২। সজীব অর্নব, পিতা-হাবিব উল্লাহ উভয় আসামিদের নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় সনাক্ত ও অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।
আসামিদের সনাক্ত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে (২৫ নভেম্বর, শনিবার) জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর বাগদোবাড়ীয়া এলাকা হতে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ডিএমপি ঢাকা তেজগাঁও থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
