ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ জ্বিলক্বদ ১৪৪৫

৫২'র ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা - মামুন আহমেদ রাশেদ



৫২'র ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা - মামুন আহমেদ রাশেদ

বিউটি আক্তার (বিশেষ প্রতিনিধি): নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মামুন আহমেদ রাশেদ বলেন একুশ মানে পরাশক্তির কাছে মাথা নত না করা একুশ একটি বিদ্রোহ, বিপ্লব ও সংগ্রামের নাম। ‘একুশ’ হল মায়ের ভাষায় ভাষায় কথা বলার জন্য রাজপথ কাপানো মিছিল, স্লোগান, আন্দোলনে মুখরিত একটি মুহূর্ত।

মামুন আহমেদ রাশেদ আরও বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারীতে যে সকল ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময় আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা কে আমরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি সে সকল শহীদ এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যে সকল শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশকে পেয়েছি, তাদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষাকে রক্ষার জন্য রাজপথে আন্দোলন হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে প্রাণদান করে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা সালাম -বরকত-রফিক-শফিক-জব্বার আরও কত নাম না-জানা সেসব শহীদের আত্মত্যাগে আমরা ফিরে পাই আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা।

এই দিনে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্তে পিচ ঢালা রাজপথে সিক্ত করে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার কে আদায় করেছে পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীয় কবল থেকে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এদেশের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় ও তাৎপর্যবহ দিন। আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেই বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা ঘটে এবং শোষণ ও পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয় এদেশ ও জাতি। বাংলা নামক এই দেশটি বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারমধ্যে অন্যতম কারণ হল ভাষার জন্য সংগ্রাম,আত্মত্যাগ। 

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, সাহিত্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ চেতনাবাহী একটি স্মরণীয় দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। এদিন বাঙালি সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। বিশ্ববাসী এ অসীম ত্যাগ ও মাতৃভাষার প্রতি গভীর মমত্ববোধ এর স্বীকৃতি দিয়েছে। 

একুশ হোক জগতের সকল অনৈক্য,সংঘাত ও অশান্তির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ হাতিয়ার, হোক সমুদ্রপথের অন্ধকার রাতের আশার প্রদীপ, সঠিক পথের দিক নির্দেশক।

পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যতদিন থাকবে দেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে।

ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল ও স্মার্ট একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


   আরও সংবাদ